ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৩ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

মেসিদের পরাজয়ে এই দুই তরুণী! আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় তোলপাড়   

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৪০, ৩ জুলাই ২০১৮ | আপডেট: ১২:৪৪, ৪ জুলাই ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

সতীর্থ হিসেবে ক্লাবে পাশে পেয়েছেন এডিনসন কাভানি, নেমার দ্য সিলভা, ডি মারিয়াদের মতো সুপারস্টার ফুটবলারদের। তারকা ফুটবলারদের ছটায় এতদিন ঢাকা পড়েছিলেন কিলিয়ান এমবাপে। তবে আর্জেন্টিনা ম্যাচেই তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি ‘এসে গিয়েছেন রাজত্ব করতে।’

আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে স্রেফ গতিতে নাস্তানাবুদ করে ছেড়়েছিলেন মেসির জাতীয় দলের সতীর্থদের। ওটামেন্ডি, রোহো হোক বা বার্সেলোনায় খেলা জেভিয়ের মাসচেরানো— এপবাপের সঙ্গে গতিতে পাত্তাই পাননি তারকা ডিফেন্ডাররা। কিন্তু তাঁর এই চমকপ্রদ উত্থানের নেপথ্যে কী? আন্তর্জাতিক প্রচারমাধ্যমের এখন নয়নের মণি এমবাপে। একাধিক প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, এমবাপে সমর্থন জুগিয়ে চলেছেন তাঁর বান্ধবী এলিসিয়া এইলিস, যিনি আবার প্রাক্তন ‘মিস ফ্রান্স’!

মাত্র ১৯ বছর বয়স। আর এই বয়সেই নাম লিখিয়ে ফেলেছেন কিংবদন্তিদের ব্র্যাকেটে। এর আগে টিনএজার হিসেবে বিশ্বকাপের কোনও ম্যাচে জোড়া গোল করার নজির ছিল স্বয়ং পেলের। টিনএজারদের সেই এলিট বন্ধনী এতদিন ফাঁকাই ছিল। তবে এমবাপে ঢুকে পড়েছেন আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে জোড়া গোলের সৌজন্যে। আর তারকা থেকে মহাতারকা হয়ে ওঠার পথে এমবাপেকে সারাক্ষণ ভরসা জুগিয়ে চলেছেন এলিসিয়া।

কাজান এরিয়ায় যখন মেসিকে ম্লাণ করে নতুন তারকা হয়ে ওঠার বার্তা দিলেন এমবাপে, তখন ভিআইপি গ্যালারিতেই দেখা গেল এলিসিয়াকে। আন্তর্জাতিক প্রচারমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, চলতি বছরের মে মাস থেকেই এমবাপে আর ‘সিঙ্গল’ নন। তিনি এখন ‘ইন আ রিলেশনশিপ’। মে মাস থেকেই ডেটিং শুরু করেছেন এমবাপে ও এলিসিয়া। এর আগে এমবাপে যে ক্লাবে খেলেন সেই প্যারিস সেন্ট জার্মাইন-এর খেলা দেখতে স্তাদ দ্য ফ্রান্সের গ্যালারিতেও একাধিকবার দেখা গিয়েছে এলিসিয়াকে।

ফ্রান্সের তারকাকে সমর্থন করে চলা এলিসিয়া অবশ্য জন্মসূত্রে ফরাসি নন। ফ্রান্স অধিকৃত ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের মার্টিনিকে জন্ম কৃষ্ণ-বর্ণা সুন্দরীর। দু’বছর বয়সেই এলিসিয়ার বাবা-মা আলাদা হয়ে যান। মা মারি চ্যান্টালের সঙ্গে তিনি তখন পাড়ি দেন ফ্রেঞ্চ গায়ানার মাতৌরিতে। ২০১৬ সালে ‘মিস ফ্রেঞ্চ গায়ানা’ হন তিনি। তার পরের বছরেই জিতে নেন ‘মিস ফ্রান্স’-এর শিরোপা। ২০১৭ সালে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতাতেও ফ্রান্সের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তিনি।

বর্তমানে বিভিন্ন সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশ নেন তিনি। অবশ্য বিজ্ঞান বিষয় নিয়ে স্নাতক স্তরে পড়াশুনাও করছেন তিনি। যাই হোক, এমবাপের মতো তারকার উত্থানে তিনি-ই নাকি অনুঘটক, এমনটাই বলছে সবাই। কাজান এরিয়ায় তাঁর পাশেই দেখা গিয়েছিল অন্য এক প্রাক্তন ‘মিস ফ্রান্স’ (২০০৭) রাচেল লেগ্রেন ত্রাপানি। যাঁর বয়ফ্রেন্ড স্বয়ং বেঞ্জামিন পাভার্ড। পাভার্ডের সোয়ার্ভিং শটই নাকি আর্জেন্টিনা বধের টার্নিং পয়েন্ট। দুই সুন্দরীই গ্যালারিতে বসে আর্জেন্টিনার হারের পরোক্ষ কারণ হয়ে থাকলেন। এটাই বা কম কী!

এসি   

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি